অঞ্জন প্রসাদ রায় চৌধুরী, কমলগঞ্জ প্রতিনিধি:-
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পৌষ সংক্রান্তিকে সামনে রেখে জমে উঠেছে বাজার। সু-স্বাদু পিঠাপুলি তৈরীর উপকরণ কেনায় ব্যস্ত সনাতনি মানুষজন।
তাই বাজারে বেড়েছে গুড়ের দাম। এক জোড়া নারিকেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।জানা যায়, আগামী ২৯ শে পৌষ বাঙ্গালী সনাতনিদের ঐতিহ্যবাহী উত্তরায়ণ বা পৌষ সংক্রান্তি উৎসব।
পৌষ সংক্রান্তিতে এ অঞ্চলের বাঙলী সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিটি ঘরে তৈরী হবে সু-স্বাদু রকমারি পিঠা পুলি। পিঠা পুলি তৈরীতে দুধের সাথে বেশী ব্যবহার করা হয় নারিকেল, চিনি ও গুড়।
প্রতিটি বাড়িতে সংক্রান্তির দিন নেওয়া হবে বড় আকারের মাছ। বাড়িতে বাড়িতে করা হবে অতিথি আপ্যায়ন। সংক্রান্তির এক সপ্তাহ আগ থেকে সংক্রান্তির পিঠাপুলির উপকরণ বিক্রি বেড়ে যায়।এ অবস্থায় কমলগঞ্জের হাট-বাজারে এসব উপকরণ বিক্রির সাথে দামও বেড়ে গেছে।
সোমবার ভানুগাছ ও শমশেরনগর বাজার ঘুরে দেখা গেছে এক সপ্তাহ আগে এক কেজি গুড়ের দাম ছিল ৮০ টাকা করে। এখন সে গুড় বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা দরে। খেজুরের গুড় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০ টাকা দরে। এক সপ্তাহ আগে একটি নারিকেল বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা করে।
এখন একটি নারিকেল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা করে। পৌষ সংক্রান্তির পিঠাপুলি তৈরীতে নারিকেল অপরিহার্য বলে ক্রেতারা এক জোড়া নারিকেল কিনছেন ২০০ টাকা করে।প্রতি কেজি মিষ্টি কদমা ও বাতাসা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা করে।
আর গুড়ের সাথে তিল মিশ্রিত করে নাড় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৫০ টাকা দরে।ব্যবসায়ীরা বলেন, পৌষ সংক্রান্তি উৎসবে বাঙলীর ঘরে ঘরে বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিটি ঘরে নানা জাতের স্-ুস্বাদু পিঠাপুলি তৈরী করা হয়। ভালো বড় আকারের মাছ কেনা হয়। অতিথি আপ্যায়ন করা হয়।
আর এতে দুধ, নারিকেল, চিনি, গুড় ও তিলের ব্যবহার হয় বেশী। এর সাথে আবার ঢলু বাঁশ দিয়ে চোঙা পিঠা তৈরী করা হয়।একারনে এসময় ঢলু বাঁশ কেনা হয়। এ সুযোগে বাজারের পিঠাপুলি তৈরীর বিভিন্ন উপকরনের দাম বেড়ে গেছে।ভানুগাছ বাজার ও শমশেরনগর বাজারের মুদি ব্যবসায়ীরা বলেন, আগে পাইকারী বাজারে নারিকেলের দাম কম ছিল বলে কম দামে বিক্রি হতো।
এখন পাইকারী বাজারে এক জোড়া নারিকেল ১৮০ টাকা করে কিনতে হচ্ছে। ফলে খুচরা বাজারে এক জোড়া নারিকেল ২০০ টাকা করে বিক্রি করতে হচ্ছে।বিষয়টি নিয়ে সাধারণ ক্রেতাদের সাথে আলাপকালে তারা বলেন এভাবে বাজার নিয়ন্ত্রনের বাইরে থাকলে নিম্ন ও মধ্য আয়ের জনগনের পক্ষে এই উৎসব অন্যান্য বারের মতো পালন কষ্টকর হবে।তাই যথাযথ বাজার মনিটরিং এর মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনের জন্য প্রশাসনিক উদ্যোগ একান্ত জরুরী।